পানিহাটা মিশন, নালিতাবাড়ি, শেরপুর।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে পানিহাটা মিশন অবস্থিত । বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত বরাবর বয়ে চলছে ভোগাই নদী। পাদ্রি মিশনের পশ্চিমে উঁচু পাহাড়ে দাঁড়ালে এপাশ থেকে ভারতের মানুষের জীবন-যাত্রা ও যানবাহন চলাচলের দৃশ্যও দেখতে পাবেন খুব কাছ থেকে। বাংলাদেশ প্রান্তে সবুজে ঘেরা বৃক্ষরাজি। এলাকাটি উপজাতি অধ্যুসিত (গারো সম্প্রায়ের বসবাস) হওয়ায় এখানে খ্রিস্টানরা তৈরি করেছেন পাদ্রি মিশন।আকাশ যদি মেঘলা না থাকে তাহলে পানিহাটার সুউচ্চ পাহাড় থেকে মেঘালয়ের ছোট পাহাড় গুলোর উপর দিয়ে দেখতে পাবেন ভারতের তোরা জেলার প্রতিচ্ছবি।
বন্ধুদের সাথে
পানিহাটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসেন।সীমান্তবর্তী অন্য স্পটগুলোর মধ্যে পানিহাটা থেকেই কাছ থেকে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মানুষ ও তাদের জীবন যাত্রা।পানিহাটার দুইপাশেই ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়। ভারত অংশে পাহাড়ের আঁকাবাকা পিচডালা পথ ধরে চলাচল করছে অসংখ্য গাড়ী ও মালবাহী ট্রাক।
এ এলাকার অধিকাংশ জনগণ উপজাতি হওয়ায় উপজাতিদের জীবন-যাত্রা, তাদের সহজ-সরল আচরন সহজেই চোখে পরবে। উপজাতিদের অধিকাংশই গারো সম্প্রদায়ের ।পাদ্রি মিশনটি আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সচেতনতামূলক কর্মকান্ড সহ উপজাতিদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও প্রদান করছে বিভিন্ন ভাবে ।
ঘুরাফেরার এক পর্যায়ে আমরা সবাই।
এটাই ভোগাই নদী । এর একপাশে বাংলাদেশ অন্যপাশে ভারত।
পাহাড়ে বিশ্রাম নেয়ার দৃশ্য।
https://farukhossainn.blogspot.com/2022/01/blog-post_21.html
No comments