বন্দী জীবন!
প্রতিটা প্রাণীই তার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। প্রতিটা জীব বা প্রাণীই তার আপন পরিবেশে বেড়ে উঠবে, এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের শখ মেটানোর জন্য পাখিকে খাঁচায় আটকে রেখে লালন পালন করে! খাঁচার জীবন মানে বন্দি জীবন কতটা দু:সহ ও বেদনার তা তারা ফিল করে না। যতই আপ্যায়ন করা হোক না কেন আপনাকে, যদি আপনার ইচ্ছেমত চলতে না দেয়া হয় অথবা মুক্ত আকাশে বা বাতাসে মুক্তির নি:শ্বাস নিতে না দেয়া হয়, নিশ্চয় আপনার তা ভাল লাগবে না। এক ধরনের অন্তরদহন কাজ করবে আপনার মনে যার ফলে জীবন দূর্বিসহ হতে বাধ্য।
পাখি উড়বে আকাশে, বাতসে, বনে জংঙ্গলে খুঁজবে আধার যেখানে সেখানে। তারপর সন্ধ্যায় ফিরে আসবে তার আপন ঠিকানায় কোন এক গাছের ডালে বা গাছের কুটরে, যেখানে তার প্রতিবেশীরা বসবাস করে। সন্ধ্যায় ও ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুৃম ভাঙবে প্রকৃতির অন্যান্য প্রজাতির। এরচেয়ে আর উপভোগ্য কি হতে পারে!
সৃষ্টিকর্তা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন আপন মহিমায় পরম যত্নে। প্রতিটা জীবেরই নির্দিষ্ট জীবনাচরণ দিয়েই তাদের সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষকে দিয়েছেন বিবেক, বুদ্ধি আর মর্যাদা ও সম্মান। আমরা মনুষ্য প্রজাতি যাই কিছু করি না কেন বিবেক, বুদ্ধি খাটিয়েই করতে হয়। আমাদের দ্বারা যেন স্বজাতি বা অন্যকোন প্রজাতি কষ্ট না পায় সেদিকটা খেয়াল রাখা জরুরি।
https://farukhossainn.blogspot.com/2022/01/blog-post_25.html

No comments