এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।
এ গানের কথার যথার্থ প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের নান্দনিক সৌন্দর্য । বিরিশিরি নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত এবং দূর্গাপুর পৌরসভার একটি ওয়ার্ড। সোমেশ্বরী নদী দূর্গাপুর ও বিরিশিরিকে আলাদা করেছে। এখানকার মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ ভাগ গারো সম্প্রদায়ের,৩০ ভাগ মুসলিম এবং ১০ ভাগ হিন্দুসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠী।বিরিশিরির মূল আকর্ষণ হচ্ছে বিজয়পুর চিনা মাটির পাহাড়। যার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলছে সবুজ, নীলচে ও স্বচ্ছ পানির হৃদ। ভ্রমণ পিপাসূদের কাছে সত্যিই এটি অনেক ভাললাগার স্থান হিসেবে পরিচিত।বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড় আর নীল পানির হৃদ আপনার ভ্রমণের ক্লন্তি দূর করে দিবে সহজেই।
উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছেঃ
- সোমেশ্বরী নদী।
- কালচারাল একাডেমী।
- কমলা রানী দিঘী।
- কুল্লাগড়া মন্দির।
- বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড়।
যেভাবে বিরিশিরি যাবেন
ঢাকার মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে সুখ নগরী। সুখ নগরী থেকে নৌকায় নদী পার হয়ে অটোরিক্সা অথবা ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে দূর্গাপুর যাওয়া যায়।
ট্রেনে গেলে হাওড় এক্সপ্রেসে এসে শ্যামগঞ্জ নামবেন। তারপর সেখান থেকে অটোরিক্সা, সিএনজি বা মোটর সাইকেলে বিরিশিরি যাওয়া যায়।
বিরিশিরি গিয়ে সেখানে যেভাবে ঘুরবেনঃ
বিরিশিরি বাজার থেকে (৫০০ - ৭০০) টাকার মধ্যে সারাদিনের জন্য অটোরিক্সা ভাড়া করবেন।তারপর দেখার উদ্দেশ্যে বেরিড়ে পরবেন। পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যে সোমেশ্বরী নদী, কালচারাল একাডেমী, রানীখং চার্চ, গারো পল্লী, বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড় ঘুরে আসতে পারবেন।
খাওয়া দাওয়া
সাথে করে কিছু শুকনা খাবার ও পানি নিয়ে যেতে পারলে ভাল হয়। তাছাড়া সেখানে ছোট কিছু খাবার হোটেল আছে। এসব হোটেলে ভাত, মাছ, মাংস ও ডাল রান্না হয়।
Good job
ReplyDelete